প্রাক্তন বিজেপি নেতা বর্তমানে তৃণমূলের কালচিনি ব্লকের নবনিযুক্ত
সহ-সভাপতি তরুণ তুর্কী নেতা সন্দীপ এক্কা কালচিনিতে বিজেপির সংগঠন ভেঙে
তছনছ করে দিচ্ছেন।
প্রায় রোজই কালচিনির বিভিন্ন অঞ্চল এবং বুথে হানা
দিয়ে তিনি কয়েক হাজার বিজেপির কর্মী ও সমর্থককে তৃণমূলে যোগদান
করিয়েছেন।
রবিবার ফালাকাটার জটেশ্বরে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সুকান্ত হলে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি ও প্রার্থী বাছাই নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কুমারগ্রাম ব্লকের কর্মীদের একাংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনায় ভোটের মুখে জেলায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
এদিন দিলীপবাবুর গাড়ি ঘিরে প্রায় আধ ঘণ্টা দলের কুমারগ্রামের বিজেপি কর্মীদের একটি অংশ বিক্ষোভ দেখায়। প্রসঙ্গত, বিজেপি’র কুমারগ্রামের ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সুনীল মাহাতোর স্ত্রী অভিযোগ করেন, এক লক্ষ টাকা চেয়ে তাঁর স্বামীকে হুমকি দিয়েছেন দলের জেলা কমিটির ছয় নেতা।
|
শ্রীমতি বেবী পাল |
আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলা
বিজেপি'র সহ-সভাপতি শ্রীমতি বেবী পাল সদলবলে বিজেপি পরিত্যাগ করে জাতীয়
কংগ্রেসে যোগদান করলেন। আলিপুরদুয়ার কলেজ হল্টের জেলা কংগ্রেস ভবনে তিনি
জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্রী বিশ্বরঞ্জন সরকারের হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা
হাতে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে শ্রীমতি বেবী পাল গত মাস ছয়েক আগে বিজেপিতে
যোগদান করেছিলেন এবং আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব ভার
পেয়েছিলেন।
দুর্নীতি এবং গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতে প্রবল গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি'র সভাপতি ও তার কয়েকজন অনুগামীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধারাবাহিকভাবে দল থেকে পদত্যাগ অব্যাহত। বেশ কয়েকজন পুরনো বিজেপি নেতা ও কয়েক'শ কর্মী গত একমাসে জেলা বিজেপি সভাপতির প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে ও নানা অভিযোগ তুলে দলত্যাগ করেছেন। তার উপর ডুয়ার্সের গজমম এর সমস্ত নেতা ও কর্মীরা দলবেঁধে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি ও তাঁর সমর্থকরা জেলা রাজনীতিতে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন।