Pages

Monday, April 2, 2018

আলিপুরদুয়ার জেলার জটেশ্বরে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

রবিবার ফালাকাটার জটেশ্বরে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সুকান্ত হলে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি ও প্রার্থী বাছাই নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কুমারগ্রাম ব্লকের কর্মীদের একাংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনায় ভোটের মুখে জেলায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
এদিন দিলীপবাবুর গাড়ি ঘিরে প্রায় আধ ঘণ্টা দলের কুমারগ্রামের বিজেপি কর্মীদের একটি অংশ বিক্ষোভ দেখায়। প্রসঙ্গত, বিজেপি’র কুমারগ্রামের ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সুনীল মাহাতোর স্ত্রী অভিযোগ করেন, এক লক্ষ টাকা চেয়ে তাঁর স্বামীকে হুমকি দিয়েছেন দলের জেলা কমিটির ছয় নেতা।

গত ২০ মার্চ সুনীলবাবুর স্ত্রী কামাখ্যাগুড়ি আউটপোস্টে দলের ওই ছয় নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু বিষয়টির তদন্ত না করে উল্টে সুনীলবাবুকেই জেলা নেতৃত্ব দল থেকে সাসপেন্ড করে। দলের কুমারগ্রামের কর্মীদের সেই রাগ এদিন জটেশ্বরে আছড়ে পড়ে দলের রাজ্য সভাপতির উপর।
বৈঠক শেষে ফালাকাটায় হোটেলের উদ্দেশে রওনা দিতেই দিলীপবাবুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তার মধ্যেই দিলীপবাবু গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে যান। দলের জেলা পর্যবেক্ষক মালতী রাভা রায় বলেন, এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সমস্যা একটা হয়েছে। আমরা দলে আলোচনা করেই তা মিটিয়ে নেব। এদিকে, এদিন বিক্ষোভের আগে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু তৃণমূলকে হারাতে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে রামধনু জোটের বার্তা দেন। এর আগে এই জোটের বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল সিনহাও। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিজেপি যে আদালতে যাচ্ছে না এদিন মালবাজারে দিলীপবাবু স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
বিক্ষোভর’ত বিজেপির দলীয় কর্মীরা এও অভিযোগ করেন যে জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৄণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির এজেন্ট হিসাবে দলের মধ্যে কাজ করছেন এবং এই মর্মে তারা জেলা সভাপতির অনতিবিলম্বে অপসারণ দাবী করেন| 

No comments:

Post a Comment