Pages

Monday, October 9, 2017

আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের হুঁসিয়ারি বিজেপিকে পোড়ানো হল দিলীপ ঘোষ ও অমিত শাহের কুশপুতুল

কুশপুতুল দাহ
৭ই অক্টোবরঃআলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা   জলপাইগুড়ির জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী নাম
না করে বিজেপি কর্মীদের কড়া হুঁসিয়ারি দিলেন।
তাঁঁর স্পষ্ট হুঁসিয়ারি, “যদি  বিজেপি নেতা-কর্মীরা আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়ানোর চেষ্টা করেন,তাহলে তাদের শুধু আলিপুরদুয়ার জেলা নয়, রাজ্য থেকে বার করে দেওয়া হবে। অযথা বেশী নোংরা ধরনের সাহস যেন তারা না দেখান। 


“সঙ্গে সঙ্গে জেলার একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি এও বলেন,“যারা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করার চেষ্টা করবেন তাদের আমরা বলছি, নিজেদের শরীর ও প্রাণকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখুন।” উল্লেখ্য শুক্রবার রাতে আলিপুরদুয়ার ১নং ব্লকের সাহেবপোতায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মলনী  অনুষ্ঠানে সৌরভ দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারাই অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করবেন তাদের টেনে টেনে কানের গোড়ায় থাপ্পড় কষান।” ঠিক একইভাবে এদিন আরও সুর চড়িয়ে  বিজেপি কর্মীদের পাল্টা মারের হুমকি দিয়ে রাখলেন সৌরভ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার জেলার সবকটি থানাতেই দিলীপ ঘোষের উপরে হামলার প্রতিবাদে  বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এর প্রতিবাদে পাল্টা কর্মসূচী নেয় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা ও সৌরভ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে চৌপথিতে দিলীপ ঘোষ ও অমিত শাহের কুশপুতুল পোড়ান হয়।  মোহন শর্মা জানান,“বিজেপি ঠিক কি চাইছে, তারা কতটা সাম্প্রদায়িক তা রাজ্যের মানুষ বুঝে গেছেন।” । 


বিজেপির জেলা সভাপতি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেন নি| নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির একজন জেলা নেতা জানান,“পুলিশ কার্যত রাজ্যের শাসক দলের দলদাসে পরিনত হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির এই রাজ্যে কোন নিরাপত্তা নেই। প্রভাতবাবুর উপর হামলায় ৫জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে বৃহত্তর আন্দোলন নেওয়া হবে।”একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচী ঘিরে বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন সৌরভ চক্রবর্তী ঠিক তখনই জেলার তপসিখাতা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী,বিজেপি কর্মী প্রভাত কুমার সরকারকে মারধর-হুমকির দিয়েছেন , এই অভিযোগে আক্রান্তের পরিবার আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ জড়িত নয় বলে জানান তৃণমূলের জেলা নেতারা। জানা গেছে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ নিজের বাড়ির এলাকাতেই বেধরক মারধর করা হয় প্রভাতবাবুকে। জেলা বিজেপিতে ব্যাপক অন্তর্দ্বন্দ ও ঐক্যের অভাবে অনেক নেতা ও কর্মীরা এ অবস্থায় সন্ত্রস্থ বোধ করছেন|
সোর্স: মিডিয়া

No comments:

Post a Comment