রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করেই তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়
কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দিল ডিভিশন বেঞ্চ।মহরমের দিন দুর্গা
পুজোর বিসর্জন করা যাবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে খারিজ করে দিয়ে এই রায়
দিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি ও
বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।আদালত রায়ে বলে, দশমী থেকে রোজ রাত
১২টা পর্যন্ত বিসর্জন দেওয়া যাবে। সব দিনেই বিসর্জন দেওয়া যাবে।
তবে রাত ১২টার মধ্যে ঘাটে পৌঁছাতে হবে বিসর্জন দিতে গেলে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, দশমীর দিন (৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার) রাত ১০টা পর্যন্ত বিসর্জন করা যাবে। তার পরের দিন অর্থাৎ রবিবার (১ অক্টোবর) একাদশীর দিন মহরম পড়েছে।
ওই দিন কোনও বিসর্জন করা যাবে না।এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করেই তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতাহাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দিল ডিভিশন বেঞ্চ।তবে আদালত জানিয়েছে, কোন পথ দিয়ে বিসর্জন ও কোন পথ দিয়ে মহরমের মিছিল যাবে, তা ঠিক করে দেবে পুলিশ।এর আগে বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি চলাকালীন তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলে, রাজ্য তার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আমরা ক্ষমতার যথেচ্ছ প্রয়োগের অনুমতি দিতে পারি না।আদালত বলে, রাজ্য সরকারকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। কোনও জমায়েত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, প্রথমে জলকামান ব্যবহার করতে হবে।
তার পরে প্রয়োজনে মৃদু লাঠিচার্জ। কিন্তু প্রথমেই গুলি চালাতে পারে না সরকার।বিচারপতিদের মতে, বিসর্জনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রথমেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার।রাজ্য সরকারী আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, আপনারা তো খুবই ক্ষমতাবান, কিন্তু ক্যালেন্ডারকে কি থামাতে পারবেন? চাঁদের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন?বুধবারও বিচারপতিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিসর্জন নির্দেশিকার কড়া সমালোচনা করেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ আছে বলছেন, তখন পুলিশ কেন এমন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। এটি বিভেদ তৈরির একটি প্রয়াস কিনা, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা অনুমান করে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকরা যায় না বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতিরা।
লেখক : সৌমেন অরণ্য অরন্য বাবু ফেসবুক থেকে
তবে রাত ১২টার মধ্যে ঘাটে পৌঁছাতে হবে বিসর্জন দিতে গেলে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, দশমীর দিন (৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার) রাত ১০টা পর্যন্ত বিসর্জন করা যাবে। তার পরের দিন অর্থাৎ রবিবার (১ অক্টোবর) একাদশীর দিন মহরম পড়েছে।
ওই দিন কোনও বিসর্জন করা যাবে না।এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করেই তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতাহাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দিল ডিভিশন বেঞ্চ।তবে আদালত জানিয়েছে, কোন পথ দিয়ে বিসর্জন ও কোন পথ দিয়ে মহরমের মিছিল যাবে, তা ঠিক করে দেবে পুলিশ।এর আগে বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি চলাকালীন তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলে, রাজ্য তার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আমরা ক্ষমতার যথেচ্ছ প্রয়োগের অনুমতি দিতে পারি না।আদালত বলে, রাজ্য সরকারকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। কোনও জমায়েত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, প্রথমে জলকামান ব্যবহার করতে হবে।
তার পরে প্রয়োজনে মৃদু লাঠিচার্জ। কিন্তু প্রথমেই গুলি চালাতে পারে না সরকার।বিচারপতিদের মতে, বিসর্জনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রথমেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার।রাজ্য সরকারী আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, আপনারা তো খুবই ক্ষমতাবান, কিন্তু ক্যালেন্ডারকে কি থামাতে পারবেন? চাঁদের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন?বুধবারও বিচারপতিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিসর্জন নির্দেশিকার কড়া সমালোচনা করেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ আছে বলছেন, তখন পুলিশ কেন এমন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। এটি বিভেদ তৈরির একটি প্রয়াস কিনা, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা অনুমান করে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকরা যায় না বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতিরা।
লেখক : সৌমেন অরণ্য অরন্য বাবু ফেসবুক থেকে
No comments:
Post a Comment